ইসরাফিল নাঈম, চরফ্যাশন (ভোলা) থেকে: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের দুই কিলোমিটার পাকা রাস্তা ও একটি সেতুর অভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পাঁচ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। সেতুর বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে এলাকাবাসী। কিন্তু সেটিও জরাজীর্ণ। ফলে সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা। দুর্ভোগ লাঘবে রাস্তা ও সেতু নির্মাণের দাবি তাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, শশিভূষণ টু দক্ষিণ আইচা আঞ্চলিক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত তুলাতলি মোড় থেকে বুড়াগৌরাঙ্গ খাল পর্যন্ত মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তা যেখানে করিমপুর, ভাষানচর, শশিভূষণ, রসুলপুর ও দক্ষিণ চমঙ্গল গ্রামে বসবাসরত মানুষের চলাচলের প্রধান পথ এই দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ও শিঙের খালের ওপর অস্থায়ী একটি বাঁশের সাঁকো। তেতুলিয়া নদীর জোয়ারের পানিতে সাঁকোটি প্রায়ই ডুবে থাকে। আর সামান্য বর্ষার পানিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে কাঁচা রাস্তাটি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষ।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান বলেন, আমার ছোট মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে এই সাঁকো থেকে পানিতে পড়ে গেছে। সেদিন আশেপাশে লোকজন না থাকলে মেয়েকে জীবিত পেতাম কিনা জানিনা।তিনি জন-গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি পাকাকরন ও একটি সেতু নির্মাণ করতে কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন।
ওই এলাকার মাদ্রাসায় পড়ুয়া একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত আমার এই সাঁকো পার হয়ে মাদ্রাসায় যাইতে হয়। যা আমাদের জন্য খুবই অসুবিধা হচ্ছে। আমরা এখানে একটি সেতু চাই ।
চর শশিভূষণ হোসাইনিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা নিজামুল হক বলেন, আমাদের এ অঞ্চল কৃষি-প্রধান। এই কাঁচা রাস্তা ও সাঁকোর জন্য একদিকে যেমন কৃষকরা পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে শিক্ষার্থী ঝরে ফারার হার।
রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম পন্ডিত দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে জানান, কিছুদিন পূর্বে রাস্তাটিতে মাটি ফালানো হয়েছিল। এখন বর্ষার কারণে মানুষের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। রাস্তাটি পাকাকরন ও সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান।